বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

পামঅয়েলের দাম লিটারে ৩ টাকা কমল 

নিজস্ব প্রতিবেদক:: গত ২০ মার্চ সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা কমিয়ে লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। সেদিনই জানানো হয়েছিল, পামঅয়েলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে হবে।

সয়াবিন তেল লিটারে ৮ টাকা কমানোর পর এবার পামঅয়েলের দর কমানো হলো লিটারে ৩ টাকা। দুই স্তর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ও আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ রেখে বাকিগুলো প্রত্যাহারের এই সুফল পাওয়া গেল।

মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে পাম তেল বিক্রি করা হবে ১৩০ টাকা লিটার দরে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই তেল লিটারে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত ২০ মার্চ সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা কমিয়ে লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। সেদিনই জানানো হয়েছিল, পামঅয়েলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে হবে।

সরকার খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করে দিতে চাইলেও পামঅয়েল এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খোলাই বিক্রি হয়।

পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে তোলপাড় সবচেয়ে বেশি। এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরো ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।

বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি তাও হচ্ছিল, তবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েল অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়নি।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য ছিল, তেলের দাম যখন ১৬৮ টাকা করা হয় তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে টনপ্রতি আমদানি মূল্য পড়েছে ১৩০০ ডলারের কিছু বেশি। তবে সেটি এখন পড়েছে ১ হাজার ৯০০ ডলারের মতো।

এই পরিস্থিতিতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলেও মিল মালিকরা তা স্বীকার করতে চাননি। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালিয়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের জরিমানা করতে থাকে।

পরে সরকার তেলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে প্রথমে উৎপাদন ও বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে। এই সিদ্ধান্তে বাজারে প্রভাব পড়া সম্ভব নয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেয়ার পর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে ভ্যাট প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তের পর তেলের আমদানি খরচ কত পড়েছে, এরপর পরিশোধন ও বাজারজাতকরণ খরচ এবং মিল মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের মুনাফা হিসাব করে নতুন দাম ঠিক করা হয়।

সয়াবিন ও পামঅয়েলের নতুন এই দাম পুরো রমজানেই থাকবে। আন্তর্জাতিক বাজার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দাম নির্ধারণে আবার ২২ মে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে গত ২০ মার্চের বৈঠকে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com